Wednesday, July 6, 2016
ঈদের দিনের সুন্নাত ও ঈদের নামাজের নিয়ম
ঈদের দিনে ১৩ টি কাজ করা সুন্নত। এগুলো হলঃ
.
১। অতি সকালে নিদ্রা ত্যাগ করা;
২। ফজর নামাজ নিজ মহল্লার মসজিদে পড়া;
৩। মিসওয়াক করা;
৪। সুন্নত তরিকায় গোসল করা;
৫। যথা সম্ভব উত্তম পোষাক পরিধান করা;
৬। সুগন্ধি বা আতর লাগানো (পারফিউম নয়);
৭। ঈদগাহে যাবার পূর্বে কোন মিষ্টি দ্রব্য খাওয়া;
৮। ঈদগাহে যাবার পূর্বে সদকাহ আদায় করা (যদি ছদকা -ফিতরা দেয়া তার উপর ওয়াযিব হয়);
৯। শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে আনন্দ উদযাপন করা;
১০। ঈদগাহে পায়ে হেটে যাওয়া;
১১। ঈদগাহে যাবার সময় আসস্তে আস্তে পড়তে হবে "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়ালাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ"
১২। ঈদগাহে এক রাস্তায় গিয়ে অন্য রাস্তা় ধরে ফিরে আসা;
১৩। ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়া, বিনাওজরে মসজিদে না পড়া (ফিক্হুল মুয়াস্সার)। এছাড়া, নামাজ পড়ার স্থানে যেয়ে খুৎবা চলাকালীন সময় কোন কথা বার্তা না বলা ওয়াজেব।
.
🌴🌴 ঈদের নামাজের নিয়ম 🌴🌴
.
অনেকের ধারণা নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি। এমনটি ঠিক নয়। যে কোনো ভাষাতেই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী দাঁড়িয়ে মনে এই নিয়ত করে নিবে—‘আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবির সহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের (বা ঈদুল আজহার) দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।’ এরপর উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেধে নিবে। হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাত্ ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা’ শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে (ঈমামের সাথে) হাত কান পর্যন্ত ওঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দেতে হবে। ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যে কোনো সূরা তিলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এরপর ইমাম সাহেব নিয়মমত রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা ইমাম সাহেবের অনুসরণ করবেন।
.
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সূরা পড়বেন। এরপর আগের মতো তিন তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত ওঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না ওঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর অন্যান্য নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে। ঈদের নামাজ শেষে ইমাম সাহেব খুতবা পাঠ করবেন। জুমার খুতবার মতো এই খুতবা শোনা মুসল্লিদের জন্য ওয়াজিব। খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, চলাফেলা করা, নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় একাকী তা আদায় বা কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে চার বা তার অধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেয়া ওয়াজিব।
.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment